♦কম্পিউটার হার্ডওয়্যার‌‌♦

 




একটি মাইক্রোকম্পিউটার অনেক গুলো আলাদা ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রনিক যান্ত্রিক অংশ দ্বারা গঠিত। এই যন্ত্রগুলো সফটওয়্যার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এই গুলোর প্রত্যেকটিকে হার্ডওয়্যার বলে।সবারই ইচ্ছা থাকে একটা কম্পিউটার কেনার। কিন্তু একটা ভালো কম্পিউটার কেনার জন্য কম্পিউটার সম্পর্কে কিছু বিষয় জানা প্রয়োজন। আমি আজকে আপনাদের সেইরকম কিছু বিষয়ই জানাবো। কম্পিউটারের ব্যাপারে একেবারেই নতুন, এমন মানুষদের কথা মাথায় রেখেই পোস্টটা সহজ কথায় লেখার চেষ্টা করা হল।বাজার থেকে আমরা সাধারণত দুই ধরনের কম্পিউটার বেশী কিনে থাকি ১- ডেস্কটপ কম্পিউটার ২- ল্যাপটপ কম্পিউটার যা সাথে করে বহন করা যায়।
কম্পিউটার কেনার সময় প্রথমেই কয়েকটি জিনিসের প্রতি লক্ষ্য রাখবেন:
আপনি কম্পিউটার এক্সপার্ট না হলে অন্তত:পক্ষে Processor, Mainboard, RAM, HDD, ODD, Graphics Card, Casing,Monitor এগুলো সম্পর্কে আপনাকে কিছু ধারনা রাখতে হবে।
এখন আমরা কম্পিউটারের মূল প্রত্যেকটি আলাদা part সম্পর্কে বলবো এবং এগুলো কেনার সময় কী কী বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে, সে সম্পর্কে কিছু বোঝানোর চেষ্টা করবো।
প্রসেসর
কম্পিউটারের প্রধান জিনিস। এটিই কম্পিউটারের সকল কাজ করে থাকে। মূলত একেই CPU (Central Processing Unit) বলে। প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল Intel এবং AMD (Advanced Micro Device)। দুইটাই ভালো, তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং technology’র দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে Intel । প্রসেসরের সিরিজ কী, সেটা খেয়াল করতে হবে। সিরিজ যত উন্নত হবে, স্পিড তত বাড়বে। Intel এর প্রথম দিককার প্রসেসর এর মধ্যে রয়েছে, Pentium Series। পরবর্তীতে ধারাবাহিকভাবে এসেছে, Celeron series, Core Series, i Series। Pentium Series এর মধ্যে, P1 (Pentium 1) এর চাইতে P2 ভালো, P2 এর চাইতে P3 ভালো আবার, P3 এর চাইতে P4 ভালো। অর্থাৎ, same clock speed এর P1 এর চাইতে P2 এর স্পিড বেশি। আবার, একইভাবে, Pentium Series এর চাইতে Core Series এর স্পিড বেশি। core series এর প্রসেসর গুলোর মধ্যে, Core 2 Quad> Core 2 Duo> Dual Core. আবার core i series এর প্রসেসর গুলোর মধ্যে, Core i7 extreme> Core i7> Core i5> Core i3।
মাদারবোর্ড
এই বোর্ডটিতেই কম্পিউটারের সকল যন্ত্রাংশ যুক্ত থাকে। মেইনবোর্ড এর জন্য ভালো ব্র্যান্ডগুলো হল: Gigabyte, Intel, Foxcon, Asus ইত্যাদি। মেইনবোর্ড অবশ্যই প্রসেসর সাপোর্টেড হতে হবে। মেইনবোর্ড এর পোর্ট দুই ধরনের হয়, IDE এবং S-ATA। তবে বর্তমানে S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডই দেখা যায়। প্রায় সব S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডে অন্তত একটি IDE পোর্ট থাকে। প্রয়োজনে IDE to S-ATA converter ব্যবহারের মাধ্যমে S-ATA পোর্টের মেইনবোর্ডে IDE device ব্যবহার করা যায়।
্যাম
RAMও কম্পিউটারের স্পিড বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। RAMএর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হচ্ছে: Transcend, Twinmos ইত্যাদি। RAM কেনার সময় এগুলো খেয়াল রাখবেন:
১. RAM এর পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে কম্পিউটারের স্পিড বাড়বে। অর্থাৎ, 1 GB RAM এর চেয়ে 2 GB RAM এর স্পিড বেশি হবে।
২. RAM এর বাস ফ্রিকোয়েন্সি বেশি হলে RAM এর ক্ষমতা বাড়বে।
৩. RAM এর ধরন উন্নত হলে তা কম্পিউটারের গতি আরও বৃদ্ধি করবে। যেমন, DDR3 RAM সমপরিমাণের DDR2 RAM এর চেয়ে শক্তিশালী। তবে মেইনবোর্ডে RAM এর স্লট যেমন হবে, সেই ধরনেরই RAM কিনতে হবে। RAM মেইনবোর্ড বা মাদারবোর্ড এর মধ্যে লাগানো থাকে।
হার্ডডিস্ক
কম্পিউটারের তথ্য এতে জমা থাকে।আপনার সব ফাইল বা তথ্য এর ভিতর জমা থাকে। এটি কম্পিউটারের Virtual RAM হিসেবেও কাজ করে। এর ভালো ব্র্যান্ড হচ্ছে, Samsung, Transcend ইত্যাদি। এটি কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য করবেন:
১. সাধারণভাবেই, হার্ডডিস্ক এর স্টোরেজ ক্ষমতা বেশি হলে বেশি তথ্য জমা রাখতে পারবেন। বাজারে ১৬০ GB থেকে শুরু করে ৩ TB হার্ডডিস্ক পাওয়া যায়।
২. হার্ডডিস্ক এর RPM (Revolutions Per Minute) বেশি হলে এর ডাটা ট্রান্সফার রেট বেশি হবে।
৩. বাজারে দুই ধরনের হার্ডডিস্ক পাওয়া যায় এক্সটার্নাল(বহনকারী) ও ইনটার্নাল( স্থায়ী) । এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক
এর শুভিদা হচ্ছে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সব সময় আপনার সাথে সাথে বহন করতে পারবেন এবং যে কোন কম্পিউটারে এটি ব্যাবহার করতে পারবেন,যে কেও এটি ব্যাবহার করতে পারবে কারন একে ব্যাবহার করা খুবই সহজ। আর ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক কম্পিউটারের ভিতরে মাদারবোর্ড এর সাথে লাগানো থাকে। অনেক সময় নানান কাজে যারা কম্পিউটার এক্সপার্ট তারা এক কম্পিউটারের ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক অন্য কম্পিউটারে লাগিয়ে কাজ করে থাকে তবে এটা সবার জন্য নয়। লক্ষণীয়: এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক ইনটার্নাল হার্ডডিস্ক HDD এর ন্যায় ব্যবহার করা যায় না, তবে ইন্টার্নাল HDD, এক্সটার্নাল HDD এর ন্যায় ব্যবহার করা যায়।
গ্রাফিক্স কার্ড
ভালো গেম খেলার জন্য বা গ্রাফিক্স ডিজাইনিং এর কাজের জন্য ভালো গ্রাফিক্স কার্ড অত্যন্ত প্রয়োজন। গ্রাফিক্স কার্ডের মধ্যে ভালো ব্র্যান্ড হল: Asus, Gigabyte, Sapphire ইত্যাদি। এটি কেনার জন্য নিচের বিষয়গুলো খেয়াল করবেন।
১. V-RAM বেশি হলে ভালো গ্রাফিক্স পাবেন।
২. সাধারণ র্যাম এর মতই V-RAM এর টাইপ উন্নত হলে ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে।
৩. এছাড়াও, Clock rate, Memory Bus ইত্যাদি বিভিন্ন জিনিসের জন্যও গ্রাফিক্স কার্ডের ক্ষমতার পরিবর্তন হয়।
৪. আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট গেম এর প্রতি আকৃষ্ট হন অথবা নির্দিষ্ট কোন সফটওয়্যার দিয়ে কাজ করেন, তবে সেই সফটওয়্যারের requirement অনুসারে নির্দিষ্ট চিপসেটের গ্রফিক্স কার্ড কিনতে হবে।
ডিস্ক ড্রাইভ
ODD হল সিডি/ডিভিডি প্লেয়ার/রাইটার। ODD এর জন্য ভালো ব্র্যান্ড হল: Samsung, Asus, Lite-On ইত্যাদি। লক্ষ্য করুন:
১. বর্তমানে সিডি প্লেয়ার এবং ডিভিডি প্লেয়ার এর মূল্যে পার্থক্য খুবই কম। CD player, DVD play করতে পারেনা, কিন্তু DVD player, CD play করতে পারে।
২. আপনি চাইলে কিছুটাকা বেশি দিয়ে Combo Drive অথবা DVD writer কিনতে পারেন। Combo drive হল সেইসব ODD যেগুলো CD Play, DVD play এবং CD write করতে পারে। আর DVD writer দিয়ে আপনি CD play, DVD play, CD write, DVD write সবই করতে পারবেন।
কেসিং
কেসিং হল Mainboard, HDD, ODD সাজিয়ে রাখার জন্য বক্স।এর ভিতরেই কম্পিউটারের আসল পার্টস গুলো লাগানো থাকে। কেসিং এর জন্য ব্র্যান্ড অতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। তবে Mercury এবং Gigabyte এর কেসিং গুলো ভালো হয়।
কিছুদিন আগে লেখা কম্পিউটার কেস ফ্যান সম্পর্কে বলা হয়েছিলো। কিন্তু বাজার থেকে একটি ভালো মানের কম্পিউটার কেস ফ্যান কিনে নিয়ে আসার পরেও দেখা যাচ্ছে সেটি তেমন কাজ করতে পারছে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এর কারন হতে পারে আপনার কাছে ভালো মানের কেস নেই। কম্পিউটারের কেসিং জিনিসটা বাসার কক্ষের মতো। কক্ষে যত বড় এবং শক্তিশালী ফ্যানই থাকুক না কেন যদি কোন ধরনের জানালা বা বাতাস পরিবহনের সুবিধা না থাকে তাহলে লাভ হবে না। ঠিক তেমনি কম্পিউটার কেসিং এ যদি বাতাস পরিবহনের সুবিধা না থেকে থাকে তাহলে ভালো ফ্যান দিয়ে তেমন লাভ হবে না।
নতুন কম্পিউটার কিনার ক্ষেত্রে সাধারনরত একটা কেস হলেই হয় আমাদের কিন্তু আমরা যে ভুলগুলো করে থাকি কম্পিউটার কেস কিনার ক্ষেত্রে তা নিয়েই আজকের লেখাটি। যেসব বিষয় দেখে কম্পিউটার কেস ক্রয় করা উচিত তা নিচে দেয়া হলোঃ
১। কেসের আকারঃ সাধারনত কেসিং গুলো আকারের ভিত্তিতে কিছু বিভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। তা হলোঃ ছোট ফ্রম ফ্যাক্টর, মিনি টাওয়ার, মিড টাওয়ার এবং ফুল টাওয়ার। সাধারনত মাদারবোর্ডের আকারের উপরে ভিত্তি করেই কম্পিউটার কেস কিনা উচিত। কেসের মডেলের সাথেই বলে দেয়া থাকে কেসটি কি কি ধরনের মাদারবোর্ড সাপোর্ট করে থাকবে। নিচে একটি ছবি দেয়া হলো যেটা মাদারবোর্ডের আকার এবং কম্পিউটার কেসের আকারে বলে দিবে।
তাই আপনার মাদারবোর্ডের আকার দেখে কম্পিউটার কেস না কিনলে প্রধান সমস্যাটা হয়ে থাকে কেবল ম্যানেজমেন্টে এছাড়া বড় কেসগুলোতে ছোট আকারের মাদারবোর্ড দেখতেও ভালো লাগবে না। এছাড়া আপনার কম্পিউটার কেস রাখার জায়গা এবং আপনার পছন্দের উপরেও কেস ক্রয় করাটা নির্ভর করে থাকে।
২। বিল্ড কোয়ালিটিঃ সাধারনত কম দামী কেসগুলো প্লাস্টিক এবং নিম্নমানের ধাতু দিয়ে বানানো হয়ে থাকে। তাই কেসগুলোতে আর্দ্রতা বা পানির সংস্পর্শে আসলেই মরিচা বা জং ধরে যেতে পারে। কম্পিউটার কেসে জং বা মরিচা পড়লে ধীরে ধীরে কেস নস্ট হয়ে যাবে এবং এর জন্য ভিতরকার যন্ত্রাংশেরও ক্ষতি হতে পারে। তাই দেখে নেয়া উচিত কম্পিউটার কেসে কোন ধরনের ধাতু ব্যাবহার করা হয়েছে।।
৩। সিপিউ কুলার রেডিয়েটর সাপোর্ট এবং ফ্যান সাপোর্টঃ সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ একটি ব্যাপার এটি কারন একটি কেস থাকলেই হয় না বরং এর ভিতরে বাতাস চলাচলের জন্য আপনার দরকার ভালো মানের কেস ফ্যান সাপোর্টের সুবিধাদি। ভালো মানের কেসগুলোতে বিভিন্ন আকারের ৫ থেকে ৬ টি কেস ফ্যান বসানোর সুবিধা দেয়া হয়ে থাকে। বেশিরভাগ কেসের ক্ষেত্রে ১২০ মিলিমিটার এবং ১৪০ মিলিমিটার কেসের সাপোর্ট দেয়া হতে পারে। তবে কিছু কিছু কেস যেমন Cooler Master এর কেসগুলো ২০০ মিলিমিটার হয়ে থাকে। যেমনঃ Cooler Master MasterCase H500 কেসটি ২০০ মিলিমিটার ফ্যান সাপোর্ট করে থাকে। যখন কুলার মাস্টারের নামই নিলাম তাহলে বলতে হয় এই ব্র্যান্ডের কেসগুলোর অধিকাংশ কেসের ডিসাইন বাতাস চলাচলের জন্য যথেস্ট ভালো।
৪। হার্ড ড্রাইভ সাপোর্টঃ আপনার যদি একের অধিক এসএসডি অথবা হার্ড ড্রাইভ থেকে থাকে তাহলে সবগুলো যাতে আপনার কম্পিউটার কেসে বসাতে পারেন সে সুবিধা আছে কিনা দেখে নিন। বর্তমানে অধিকাংশ কম্পিউটার কেসেই সর্বোচ্চ ২ টি ৩.৫ইঞ্চ ম্যাকানিকাল হার্ড ড্রাইভ এবং দুই বা তার অধিক এসএসডি সাপোর্ট করে থাকবে।
৫। বাতাস প্রবাহের ধরনঃ কম্পিউটার কেসের বাতাস প্রবাহটা কেমন হবে এটা নির্ভর করে থাকে কম্পিউটার কেসের ডিসাইনের উপরে। যেমন, Cooler Master অধিকাংশ কেসগুলো সামনের দিকটা মেশ ডিসাইনের হয়ে থাকে, NZXT অধিকাংশ কেসগুলো বাক্সের আকারের হয়ে থাকে যেগুলোর সামনের দিকে ঢাকা থাকে এবং বাতাস চলাচলের জন্য দুপাসে গ্রিল সুবিধা দেয়া আছে, Phanteks ব্র্যান্ডের কিছু কেসের মধ্যে সামনের দিকে নিচে বাতাস গ্রহনের সুবিধা আছে। বাতাস প্রবাহের মানের উপরে নির্ভর করে থাকে।
৬। মডুলার কিনাঃ বর্তমানে মডুলার কেসের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। মডুলার বলতে বুঝায় কেসের একটি নির্দিস্ট অংশ খুলা বা লাগানো সম্ভব কিনা। মডুলারিটি থাকলে কেসের অপ্রয়োজনীয় অংশগুলো খুলে রাখা যায় এছাড়া কেসের ডিসাইনেও পরিবর্তন আনা সম্ভব মডুলারিটি থাকলে।
৭। ডাস্ট ফিল্টারঃ ডাস্ট ফিল্টার কেসের জন্য একটি গুরুত্বপুর্ন জিনিস। কেস ফ্যানগুলো খালি বাতাসই টেনে থাকে না বরং এর সাথে ধুলাবালিও থেকে থাকে। তাই ডাস্ট ফিল্টার থাকাটা খুবই গুরুত্বপুর্ন। নাহলে যন্ত্রাংশের মধ্যে ধুলাবালি ঢুকে যাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ভালো ব্র্যান্ডের কেসগুলোতে ভালো মানের ডাস্ট ফিল্টার ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
৮। কেবল ম্যানেজমেন্টঃ ভালো কেবল ম্যানেজমেন্ট কম্পিউটার কেসকে সুন্দরভাবে প্রদর্শন করতে পারে এবং কেবল নিয়ে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। এজন্য কেসের দরকার কেবল ম্যানেজ করার মত সুবিদা এবং কাটিং। মোটামুটি সব নামকরা ব্র্যান্ডের কেসগুলোর কেবল ম্যানেজমেন্টে চাইলে সুন্দরভাবে করা যায়। কেবল ম্যানেজমেন্টের ব্যাপারটা সিস্টেম যিনি প্রস্তুত করে থাকেন তার অভিজ্ঞতার উপরে নির্ভর করে।
৯। দর্শনধারী এবং দাম-বিচারিঃ কেস অনেকেই দেখানোর জন্যই কিনে থাকেন। গেমিং কেসিংগুলো অধিকাংশ সৌন্দর্যের জন্যই গেমাররা কিনে থাকে। এছাড়া লাইটিং সুবিধা, আরজিবি সাপোর্ট এসবের জন্যও গেমিং কেসিংগুলো আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। তাই এক্ষেত্রে পছন্দটা আপনার।
এবার আসি বাজেটে, গেমিং কেসিঙ্গগুলো ২৬০০ টাকা থেকে শুরু করে ৩০০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। একদমই এন্ট্রি লেভেলে পাবেন Xigmatek এর কিছু কেস যেগুলোর দাম ২৬০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে। এছাড়া Golden Field এর ও কিছু কেস পাওয়া যাবে এই দামের মধ্যে। তবে আপনার বাজেট যদি ৩৫০০ টাকা বা তার বেশি হয়ে থাকে তাহলে Cooler Master এর কিছু কেস আছে। এই দামের পর Phanteks, NZXT, Cooler Master এর কিছু ভালো কেস পাবেন।
বাজারে কমদামের নিম্নমানের কেসগুলো যার সাথে পাওয়ার সাপ্লাই থেকে থাকে সেগুলো না কিনার পরামর্শ রইল। কারন সেসব কেসের সাথে দেয়া পাওয়ার সাপ্লাইগুলো আপনার কম্পিউটারের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই কম্পিউটার কেস এবং পাওয়ার সাপ্লাইয়ের জন্য একটি আলাদা বাজেট রাখতে পারেন।
ধন্যবাদ।
মনিটর
এটাই কম্পিউটারের প্রধান আউটপুট। মনিটরের জন্য ভালো ব্র্যান্ড গুলো হচ্ছে: Samsung, Philips, LG, Asus, HP, Fujitsu ইত্যাদি। মনিটর কেনার সময় নিচের বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখবেন:
LCD (Liquid Crystal Display) /LED (Light Emitting Diode) Monitor এর ক্ষেত্রে:
১. আপনার প্রয়োজন অনুসারে স্ক্রিন সাইজ সিলেক্ট করবেন। বর্তমানে অনেক মনিটরেই Built-in TV Tuner থাকে। একই সাথে কম্পিউটারের মনিটর এবং টিভির কাজ করবে এগুলো। TV Tuner না থাকলে প্রয়োজন হলে আপনি পৃথকভাবে TV Tuner কিনতে পারবেন।
২. LCD মনিটর গুলো স্কয়ার এবং ওয়াইড স্ক্রিন এই দুই ধরনের হয়। আপনার কজের প্রয়োজন অনুসারে আপনি তা select করবেন।
৩. LCD এবং LED মনিটর এর পার্থক্য হল: LED মনিটর হল উন্নত প্রকারের LCD মনিটর। তুলনামূলক ভাবে LED মনিটরে ভালো ছবি দেখা যায়। তাছাড়া, LED মনিটরে দেখতেও সাচ্ছন্দ্য বোধ হয়।
৪. কন্ট্রাস্ট রেশিও (Contrast Ratio) লক্ষ্য করবেন। এটি যত বেশি হবে, ছবির মান তত ভালো হবে, অর্থাৎ ছবি শার্প আসবে।
৫. Response Time কম হলে ভালো হয়

Post a Comment

Previous Post Next Post